হরিহরপাড়ায় কংগ্রেসে কোন্দল, কটাক্ষ তৃণমূলের

নিজস্ব সংবাদদাতা, হরিহরপাড়াঃ এবার কংগ্রেসের ঘরেও লাগল ঠোকাঠুকি। কংগ্রেসের হরিহরপাড়া ব্লকের দলীয় সভা চলাকালীন দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা বাঁধে। শেষপর্যন্ত তা হাতাহাতিতে গড়ায়। যা অস্বস্তিতে ফেলে দেয় জেলা কংগ্রেসকে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় হরিহরপাড়া ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংগঠনিক বৈঠক চলছিল। বৈঠক চলাকালীন পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা বিজয় সেখ ও ব্লক কংগ্রেস সভাপতি জাহাঙ্গীর শাহের অনুগামীরা নিজেদের মধ্যেই ঝামেলায় জড়িয়ে পরেন। একে অপরকে ধাক্কাধাক্কি দিতে দিতে গায়ে হাত তোলেন বলেও অভিযোগ। তাতে নাম জড়ায় প্রাক্তন জেলা পরিষদ সভাধিপতি মোশারফ হোসেনেরও।

সূত্রের দাবি, হরিহরপাড়া ব্লক কংগ্রেস এবং হরিহরপাড়া পঞ্চায়েত কংগ্রেসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বনিবনা হচ্ছিল না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজয় সেখকে দল থেকে বহিস্কার করেছিল তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তিনি যোগদান করেন কংগ্রেস দলে এবং চোঁয়া পঞ্চায়েত থেকে জয়ী হন। তার সঙ্গেই জোর রেষারেষি চলে মোশারফের। রেষারেষিতে লাগাম টানতেই রবিবার বৈঠক ডেকেছিলেন নেতারা। সমাধান তো দূর অস্ত। ফের বাকবিতন্ডায় একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন তাঁরা। সেখান থেকেই হাতাহাতি হয় বলে দাবি কংগ্রেসেরই লোকজনের। তবে ঘটনা অস্বীকার করেও হরিহরপাড়ার ব্লক কংগ্রেস সভাপতি জাহাঙ্গীর শাহ বলেন, ” একটি তর্কবিতর্ক হচ্ছিল। কংগ্রেস দল একটি গনতান্ত্রীক দল। যেখানে তর্কবিতর্ক হতেই পারে।” বিজয়ও ঘটনা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন,” কোনরকম মারামারি হয়নি। শনিবার হরিহরপাড়ায় আইএসএফ-এর তরফ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাঙনের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এবং আমরা সবাই মিলে সেই সভা নিয়েই আলোচনা করছিলাম। সেখানেই মত বিরোধ হয়।” মোশারফও ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ” আমরা আত্মসমালোচনা করছিলাম। শাসক দলের মতো কোন্দল আমাদের মধ্যে হয় না” তবে এই ঘটনায় কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে হরিহরপাড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি আহতাবউদ্দিন শেখ বলেন, “ওরা আমাদের সমালোচনা করে নিজেদের পিঠ বাঁচায়। আমরা জিতি ওরা নিজেদের মধ্যে কোন্দলে হারে তফাৎ এটুকুই। তবে প্রায় বিলীন হয়ে যাওয়া কংগ্রেসকে নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যাথা নেই।”